নারীসহ ৬ অপহরণকারী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্কুলছাত্র অপহরণের ঘটনায় এক নারীসহ ছয় অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। আজ ৪ ফেব্র“য়ারী দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (দক্ষিণ) এর উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ নূরে আলম।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- নগরীর সালনা পলাশটেক এলাকার আব্দুল নবীর ছেলে মিল্টন মাসুম (৩৫), তার স্ত্রী খালেদা আক্তার (৩৬), সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা থানার খেজুরবাড়িয়া এলাকার ওজিহারের ছেলে শাহীন আলম (৩৬), গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার জানেরচালা এলাকার আব্দুল সবুরের ছেলে মামুন হোসেন (২৮), শেরপুর সদরের দোপাঘাট এলাকার মো. চাঁন মিয়ার ছেলে মো. ইউসুফ মিয়া (৩৬) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানার রাজাপুর এলাকার কুদ্দুস চৌকিদারের ছেলে হাসান চৌধুরী (৪৫)।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (দক্ষিণ) এর উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ নূরে আলম জানান, অপহরণকারী চক্রটি গত এক মাসে বিভিন্ন জেলা থেকে ১৭ জনকে অপহরণ করে। এরা সকলেই আন্তঃজেলা ছিনতাই ও অপহরণকারী দলের সদস্য। এ চক্রটি গত ২৩ জানুয়ারি কোচিং সেন্টার থেকে বাসায় ফেরার পথে টঙ্গীর সফিউদ্দিন সরকার অ্যাকাডেমির নবম শ্রেণীর ছাত্র মো. তানভীর হোসেন সিয়াম (১৫) কে কৌশলে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে অপহরণকারীরা সিয়ামের পিতার কাছ থেকে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অন্যথায় সিয়ামকে হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় অপহৃত সিয়ামের পিতা গাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে গত ২৫ জানুয়ারি সিয়ামকে মহানগরীর ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের দক্ষিণ পাশে ফেলে যায় অপহরণকারীরা। সেখান থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
উপ-পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, অপহরণকারীদের ধরতে গোয়েন্দা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাতে শুরু করে। পরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গত বুধবার নগরীর সালনা এলাকা থেকে অপহরণকারী মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক অপর আসামিদের নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়পত্র, দুইটি মোটরসাইকেল, আটটি মোবাইল সেট ও নগদ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা গাজীপুরসহ ঢাকা, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, শেরপুর, ময়মনসিংহ এলাকার পেশাদার অপহরণকারী চক্রের সদস্য। তাদের নামে বিভিন্ন থানায় অপহরণ, হত্যা, মাদক, ছিনতাই ও ডাকাতির মামলা রয়েছে।