বার্সেলোনার কাছে লিওনেল মেসির বেতন বকেয়া রয়েছে ৬৫০ কোটি টাকা। লিওনেল মেসির এই বেকয়া বেতন নিয়ে বেশ চাপে আছে বার্সেলোনা। বার্সেলোনার মোট ঋণের পরিমাণ ১.১৭৩ বিলিয়ন ইউরো। এখন দেনাদারদের থেকেও চাপ আসতে শুরু করেছে, ক্লাবের কাছে পাওনা আছে খেলোয়াড়দেরও। করোনায় সৃষ্ট আর্থিক দুর্দশার কারণ দেখিয়ে মূল দলের ফুটবলারদের বেতন বকেয়া রেখেছে বার্সা।
বার্সার সঙ্গে সবশেষ চুক্তিতে চার বছরে মেসির ৫৫ কোটি ৫২ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৯ ইউরো পাওয়ার তথ্য ফাঁস করেছে স্প্যানিশ পত্রিকা এল মুন্ডো। বাংলাদেশি অঙ্কে যার পরিমাণ ৫ হাজার ৭০২ কোটি ৮১ লাখ ৪০ হাজার ৭৮২ টাকা।
বার্সেলোনার মোট ঋণের পরিমাণ ১.১৭৩ বিলিয়ন ইউরো। যার মধ্যে ৭৩০ মিলিয়ন হল স্বল্প-মেয়াদী ঋণ। অর্থাৎ, এসব ঋণ আগামী জুনের মধ্যেই পরিশোধ করতে হবে ক্লাবকে। যার বেশিরভাগ পাওনাদারই হচ্ছে বিভিন্ন ক্লাব। যারা খেলোয়াড় বিক্রি করে এপর্যন্ত পুরো টাকা বুঝে পায়নি।
রেডিও কাডেনা কোপ বলছে, এসব ঋণের ভালো একটা অঙ্ক পাওনা খোদ লিওনেল মেসিরও। জানুয়ারির শেষ নাগাদ চুক্তি অনুসারে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে বেতন ও প্রচারস্বত্ত্ব মিলিয়ে ৭২ মিলিয়ন ইউরো পরিশোধ করার কথা কাতালান ক্লাবটির। অথচ মেসি পেয়েছেন মাত্র ৮.৫ মিলিয়ন ইউরো। অর্থাৎ, ক্লাবের কাছ থেকে ৬৩.৫ মিলিয়ন ইউরো পাওনা আছে ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের। বাংলাদেশি অঙ্কে যার পরিমাণ ৬৫০ কোটি টাকা।
অবশ্য মেসিসহ খেলোয়াড়দের সঙ্গে বেতন কাটছাঁট নিয়ে চুক্তিতে এসেছে বার্সা। যার মাধ্যমে চলতি মহামারীতে ১৭২ মিলিয়ন ইউরো সাশ্রয় হবে তাদের। তাতে মেসিসহ দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়েরই বেতন বেশরকম কমে গেছে। কিছুদিন আগেও গুঞ্জন ছিল, ‘বি’ দলের খেলোয়াড়দের বেতন দেয়ার সামর্থ্যই হারিয়েছে বার্সা।