গতকাল ছিল গণপ্রজাতনন্রী বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস । একই সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ এবং ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের মৈত্রীরও সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষের সূচনা । এ উপলক্ষে আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত হয় শহীদ শ্রদ্ধান্জলি নিবেদনমূলক অনুষ্ঠান ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের জনগণের যে অপরিসীম অবদান তা তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ও বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি, লন্ডন প্রবাসী কবি, লেখক ও সাংবাদিক, যুক্তরাজ্য অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আজিজুল আম্বিয়া এবং সাংবাদিক অমিত ভৌমিক বক্তব্য উপস্থাপন করি। বিশেষ করে সেই দিনগুলোতে তৎকালীন ত্রিপুরার মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্রলাল সিংহ, ত্রিপুরার দৈনিক সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক প্রয়াত ভূপেন দত্ত ভৌমিক, সাংবাদিক অনিল ভট্টাচার্য, চিত্র সাংবাদিক রবীন সেনগুপ্ত প্রমুখদের বিশেষ অবদান তুলে ধরার চেষ্টা করি । বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর অবদান ছিল অপরিসীম । এই সংগ্রামে অসংখ্য ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে । নিহত হয়েছেন বেশ কিছু ত্রিপুরাবাসীও ।বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য অবদান , ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্মবলিদান ,দু লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিষয় যেমন নতুন প্রজন্ম জানবে, তেমনি সেই যুদ্ধে শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী কীভাবে সেই কঠিন সময়ে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব জনমত তৈরি করেছিলেন এবং ত্রিপুরার জণগন কীভাবে বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র প্রাণ নিয়ে আসা জনগণকে বুকে জড়িয়ে ধরে নিজেদের বাড়ি ঘরে আশ্রয় দিয়েছিলেন তাও নতুন প্রজন্মের ছাত্র ছাত্রী দের কাছে তুলে ধরতে হবে । এমনকি বাংলাদেশের হাজার হাজার মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীদের কাছেও সেই ইতিহাস নৈর্ব্যক্তিকভাবে তুলে ধরতে হবে । গতকালের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের সহকারী হাই কমিশনার শ্রদ্ধেয় জোবায়েদ হোসেন , প্রথম সচিব জাকির হোসেন ভূঁইয়া, এবং এস এম আসাদুজ্জামান । সাংবাদিক অমিত ভৌমিকও নানাবিধ তথ্য উপস্থাপন করে ভারত বাংলাদেশের মৈত্রীর বন্ধনকে আরও দৃঢ় করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন ।
আরো পড়–ন-
লন্ডন হাই কমিশনে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরপূর্তি উদযাপন শুরু