কুষ্টিয়া শহরের মোল্লাতেঘরিয়া মেম্বারপাড়া এলাকায় পৈতৃক সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা কে কেন্দ্র করে আপন দুই ভাই ও ভাতিজা কর্তৃক হামলার শিকার হয়েছেন ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধা মোছা: শাহিদা বেগম। এনিয়ে শাহিদা বেগম কুষ্টিয়া মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এবং অপরদিকে শাশুড়ী কে রক্ষা করায় ওহাব শেখ ও রবিউল শেখ তার ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধ বাবা কে বাদি করে শাহিদা বেগমের জামাই আরিফুল ইসলামের নামে কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। যখন তখন বাধতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ কুষ্টিয়া শহরের মোল্লাতেঘরিয়া মেম্বারপাড়া এলাকার মো: দিদার শেখের মোল্লাতেঘরিয়া মৌজার জমি নিয়ে তার বড় ছেলে মোঃ ওহাব শেখ ও আরেক ছেলে মো: রবিউল শেখ এর সাথে তাদের বোন মোছা: শাহিদা বেগম এর বিবাদ চলে আসছিল। এরই জেরে গত ৪ তারিখে সকাল শাহিদা বেগম এর দুই ভাই তার বাবা ৯০ বছরের বৃদ্ধা (দিদার শেখ) এর কাছ থেকে জমিজমা জোর করে লিখে নিয়ার জন্য চাপ দেয়। এসময় শাহিদা বেগম তাদের (দুই ভাই)কে বাধাঁ দিলে, তার দুই ভাই ও ভাতিজা কর্তৃক ভয়ানক হামলার শিকার হনতিনি। শাহিদা বেগম জানান,আমাকে মারধর করে গুরুতর জখম সহ ভয়ভীতি, হত্যার হমকি দেয় আমার ভাইয়েরা। আমার জামাই আমাকে রক্ষা করতে আসলে তাকেও মারধর করা হয়। আমার জীবন ঝুঁকির কারণে আমি কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। এর পরিপেক্ষিতে আমার ৯০ বছরের বৃদ্ধ বাবা দিদার শেখ কে বাদি করে কোর্টে মামলা দায়ের করিয়েছে আমার তিন ভাই রবিউল শেখ, আব্দুল ওহাব শেখ, তুহাব শেখ। এবিষয়ে শাহিদা বেগমের জামাই আরিফুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,আমার দাদা শ্বশুর দিদার হোসেন এর নামে সব জমি আছে। আমার দাদা শ্বশুর দিদার হোসেন প্রথম থেকেই বলে আসছেন আমি বেঁচে থাকতে কোন জমি কারর নামে দিবনা। আমি মরে গেলে শরিয়ত মোতাবেক সবাই জমির ভাগ পাবে। আমারাও তার সাথে একমত। কিন্তু আমার চাচা শ্বশুররা আমার শাশুড়ীকে জমি ভাগ দিতে রাজি নন আর সেই সুত্র ধরেই আমার দুই চাচা শ্বশুর আমার শাশুড়ীকে প্রায়দিন গালাগালি করে এবং মারতে তেড়ে আসে গত ৪ মার্চ বিকালে আমার চাচা শ্বশুররা যখন আমার শাশুড়ী মারতে আসে আমি ঠেকাতে গেলে তারা আমার উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে শরিফুল নামের আমার শ্যালক আমাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ও আমাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়।আমার শাশুড়ী বাড়িতে একা বসবাস করে। জীবনের ঝুঁকির কথা ভেবে আমার শাশুড়ী শাহিদা বেগম বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর শুরু হয় পাশ্ববিক অত্যাচার শুরু হয় আমার শাশুড়ী ও আমাদের উপর।আমি বিআরবি তে চাকুরী করি। আমার নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমি গত১১-৩-২০২১ ইং তারিখে কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমার চাচা শ্বশুররা কোর্টে আমার নামে মামলা দায়ের করায়।তাদের এজহারে যেদিন হামলার কথা বলা হয়েছে সেদিন সকাল থেকে আমি কুমারখালি উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বাড়াদী গ্রামের মান্নান এর মেয়ের বিয়েতে রান্না করছিলাম। আমার পরিবার ও সেখানে উপস্থিত ছিল। আমরা কখনই জোর জবরদস্তি করে জমিজমা চাই না।যদি আমাদের হক থাকে তাহলে আমরা পাবো। কিন্তু আমরা কোন গ্যানজাম মারামারি চাই না আমরা শান্তিতে বসবাস করতে চাই। এদিকে এলাকাবাসীও অভিযোগ করে জানান, শাহিদা বেগমের দুই ভাই ওহাব শেখ ও রবিউল শেখ এরা প্রায় জমিজমার জন্য বৃদ্ধ পিতা দিদার শেখের সাথে অমানুষিক আচারণসহ নির্যাতন করে বলেও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।