কুষ্টিয়ায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতাকে গভীর রাতে অন্যের স্ত্রীর ঘরে হাতেনাতে আটক করেছে এলাকাবাসী। আটককৃত আওয়ামীলীগ নেতাকে গণধোলাই দিয়েছে দেদারছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার ১১নংচরসাদীপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান উকিল কে (৪৮) নারী কেলেস্কারিতে মাঝরাতে এলাকার জনগণ আটক করে । সে চরসাদীপুর গ্রামের আজিজুল হক পেশকারের ছেলে ।

ঘটনা সুত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান উকিলের গ্রামের বাড়ি থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে গোবিন্দপুর এলাকার বিপুলের স্ত্রী (৩০) এক সন্তানের জননীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিলো । প্রায়ই সে লোকচক্ষুর আড়ালে গভীর রাতে তার বাড়িতে যাওয়া আসা করত এবং একান্ত সময় কাটাতো । সে প্রায় দুই বছর যাবত ওই মহিলার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে আসছে বলে এলাকাবাসী জানায়।

এদিকে বিষয়টি এলাকার লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে এলাকার লোকজন তাকে হাতেনাতে ধরার জন্য দীর্ঘদিন চেষ্টা চালিয়ে আসছিলো । অবশেষে সোমবার ২২ মার্চ দিবাগত রাত ১২ টার দিকে আতাউর রহমান উকিল ঐ মহিলার ঘরে প্রবেশ করে উভয়ের একান্ত গোপনীয় অবস্থায় এলাকাবাসী হাতেনাতে তাদেরকে আটক করে ।

এই ঘটনায় চরসাদীপুর ইউনিয়নে চাঞ্চল্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে । এলাকাবাসী বলেন তার মত একজন নেতার এই ধরনের অপকর্ম মেনে নেওয়া যায় না । এছাড়াও এলাকাবাসী বলেন, আগামী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে তার নির্বাচন করার কথা ছিল । তার এই ধরনের অপকর্ম প্রকাশ পাওয়ায় ইউনিয়ন বাসী তার উপর ক্ষুদ্ধ ।

এদিকে এই ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে । যেখানে দেখা যাচ্ছে এলাকার লোকজন আতাউর রহমানকে আটক করে তাকে উত্তম মাধ্যম দেওয়া ছাড়াও বিভিন্ন প্রকার মন্তব্য প্রকাশ করছেন ।

চরসাদীপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার মতো একজন আওয়ামী লীগের নেতার পক্ষে এমন কাজ করা উচিত হয় নাই । আমি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসাবে তার বহিষ্কার দাবি করছি এবং একই সাথে এই ঘটনার উপযুক্ত শাস্তিও দাবি করেন তিনি ।