হাসপাতালের বিলের বিষয়ে জানতে চাওয়ায় সাংবাদিকদের ওপর হামলা
নরসিংদীতে অতিরিক্ত বিলের বিষয়ে জানতে চাওয়ায় সাংবাদিক ও ব্লাড ডোনার গ্রুপের সেচ্ছাসেবক কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে প্রাইম জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৫ মার্চ) মোসলেহ উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়াম সংলগ্ন নরসিংদী প্রাইম জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ উঠেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মারপিটে আহত হয়েছেন জে টিভির সাংবাদিক মো. মিজান ও স্থানীয় খোঁজ খবর পত্রিকার সাংবাদিক মারুফ মিয়া। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এছাড়া তারা হামলার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন। এতে সাংবাদিক ও সেচ্ছাসেবক কর্মীদের ওপর হামলার চিত্র ফুটে উঠে।
জানা যায়, মনোয়ারা বেগম নামের একজন রোগীর রক্তের প্রয়োজন হলে প্রাইম হাসপাতালে রক্ত দিতে যান সাংবাদিক মারুফ ও মিজানসহ সেচ্ছাসেবক কর্মীরা। এসময় রক্তের ক্রস ম্যাচিং এর বিল ধরা হয় ৩৩০০ টাকা। অতিরিক্ত বিলের বিষয়ে সেচ্ছাসেবক কর্মীদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কথাকাটাকাটি হয়।
পরে তারা এ বিষয় নিয়ে হাসপাতালের ডিরেক্টর মাকসুদের সঙ্গে কথা বলার সময় পেছন থেকে সেভ লাইফ ব্লাড ডোনার ক্লাবের সদস্য ও সাংবাদিকদের মারতে শুরু করেন হাসপাতালের ডিরেক্টর নাসির ও তার কর্মচারীরা। এসময় নাসির মোবাইল দিয়ে মো. মিজানের চোখের নিচে আঘাত করেন। এতে তার চোখের নিচে কেটে গিয়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, হাসপাতালের ৪র্থ তলায় হাসপাতালের ডিরেক্টর মাকসুদের সঙ্গে কথা বলার সময় স্বেচ্ছাসেবক কর্মী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। পরে তাদের একটি রুমে নিয়ে আরও মারধর করা হয়। সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ধাওয়া দেয়। তারপর মারতে মারতে নিচে নিয়ে আসেন।
আহত সাংবাদিক মিজান বলেন, রক্তের জন্য মারুফের কাছে ফোন আসলে মানবিক দিক বিবেচনা করে আমিও সেখানে যাই। সেখানে যাওয়ার পর রক্তের ক্রস ম্যাচিং করানোর পর ৩৩০০ টাকা বিল দেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘অতিরিক্ত বিলের বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের ওপর চড়াও হয়। একপযার্য়ে তারা কৌশলে আমাদের চার তলায় নিয়ে মারপিট করে। তাদের হামলায় আমার চোখের নিচে কেটে গেছে’।
এদিকে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতালের ডিরেক্টর মাকসুদ বলেন, ‘তারা দীর্ঘক্ষণ যাবৎ হাসপাতালে এসে ঝামেলা করার চেষ্টা করছিলেন। একপর্যায়ে তারা আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করে’।
সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাখাওয়াত বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলি। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এছাড়া সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। সাংবাদিকরা অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।