নাইজেরিয়া ফুটবল চক্রের প্রতারতনায় পড়েছে বাংলাদেশী নারী। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, ফুটবল খেলতে এসে বাংলাদেশি নারীকে বিয়ে, পরে অবৈধভাবে বসবাস। একপর্যায়ে পুরো পরিবার নিয়ে জড়িয়ে পড়ছেন নানা অপরাধে। প্রতারণার ফাঁদ পেতে হাতিয়ে নিচ্ছেন টাকা। সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে নাইজেরিয়ান ফুলবলারসহ চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ইউনিট।
জেসিকা অস্কার। ফেসবুক প্রোফাইলে লেখা আমেরিকান নেভিতে কর্মরত একজন সদস্য। বন্ধুত্ব হয় বাংলাদেশের এক ব্যবস্যায়ীর সাথে। এখন কাজ করছেন আফগানিস্তানে এক মিশনে। তার কাছে বাংলাদেশী মুদ্রার ১০ কোটি টাকা আছে যা ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে পাঠাতে চান।
এনিয়ে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও কথিত জেসিকার সাথে কথা ও তথ্যের আদান প্রদান চলে অনেক দিন। পরে দেশে টাকা পাঠানোর নামে বিভিন্ন কৌশলে ঐ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেন ২২ লাখ টাকা।
পরে গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ইউনিট অভিযান চালিয়ে দুই নাইজেরিন ও পাঁচ বাংলাদেশীকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ বলছে, নাইজেরিয়ান এই নাগরিক বছর দশেক আগে ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। ভিসার মেয়াদ শেষ হলে বিয়ে করেন বাংলাদেশি এক নারীকে। পরে পুরো পরিবার নিয়ে জড়িয়ে পড়েন প্রতারণায়।
প্রতারকরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে পরিবারের সদস্যদের ব্যবহার করতেন। আর টাকা লেনদেন করতেন পারিবারিক একাউন্টে। পুলিশ বলছে, দেশে বসেই বিদেশি নাগরিকদের নামে একাউন্ট খুলে ও ফোন নম্বর দিয়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলতেন প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্যায়ীদের।
বিদেশি নাগরিকদের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধুত্ব করতে বা লেনদেনে সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা।