বাজারে লাগাম নেই নিত্যপণ্যের দামে। প্রায় সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে আকাশছোঁয়া গতিতে। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে দিশেহারা সাধারণ ভোক্তারা।
চাহিদা-জোগানের সূত্র মেনে নয়, বাজারে পণ্যের দাম বাড়ছে ব্যবসায়ীদের মর্জি-মাফিক। সুযোগ পেলেই দাম বাড়াতে তৎপর এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। তাদের দেখাদেখি দাম বেড়ে যাচ্ছে গোটা বাজারে। বাজারে গিয়ে খরচের হিসাব মেলাতে ঘাম ছুটে যাচ্ছে ভোক্তার।
এদিকে হঠাৎ ঘোষণায় রাতারাতি কার্যকর হয়েছে জ্বালানির নতুন মূল্য। জ্বালানি তেলের নজিরবিহীন এ মূল্যবৃদ্ধিতে জীবনযাত্রার ব্যয়ও বেড়ে গেছে। এ পরিস্থিতে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে দেশজুড়ে।
এই সুযোগে অটোরিকশা ও সিএনজি চালিত গাড়ির চালকরা বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন। এ নিয়ে যাত্রী ও চালকদের মধ্যে ঘটছে বাকবিতণ্ডার ঘটনা।
দেশে উৎপাদিত পণ্যের দাম পাল্লা দিয়ে বাড়লেও অর্থনৈতিক মন্দায় মানুষের আয় বাড়েনি। বরং অনেক ক্ষেত্রে কমেছে। এতে করে স্বল্প ও মধ্য আয়ের মানুষ চাহিদা অনুযায়ী পণ্য কিনতে পারছে না। এতে তাদের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। এদিকে সংকটের অজুহাতে সপ্তাহের ব্যবধানে অসহনীয় পর্যায়ে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম।
আড়তদাররা জানান, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ নেই। আগে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে কাঁচামরিচ আসত। এখন আসছেনা। ফলে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় স্বাভাবিকভাবেই দাম বাড়ছে। বাজারে যেসব মরিচ পাওয়া যাচ্ছে তা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা। বেড়েছে পরিবহণ খরচও। অতি বৃষ্টির কারণে কিছু এলাকায় কাঁচা মরিচের ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। যার প্রভাব দামে দেখা যাচ্ছে। কুষ্টিয়ার খোকসা পৌর বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে হয়েছে কেজি প্রতি ২২০ থেকে ২৪০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিলো প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা।
আতিয়ার রহমান নামের এক ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সাধারণ মানুষের আয় বাড়েনি অথচ ব্যয় বেড়েই চলেছে। আমাদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের চলতে কষ্ট হচ্ছে।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে সাইমন মালিথা নামের এক বে-সরকারি চাকুরীজীবি বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। তেলের সঙ্গে সবকিছুর সম্পর্ক জড়িত। তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় সবকিছুর দাম আবার নতুন করে বেড়ে গেছে। এযেনো মরার উপর খাঁড়ার ঘা।’