কালজয়ী কথাসাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৫তম জন্মবার্ষিকী আজ।
মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মীর মোয়াজ্জেম হোসেন এবং মায়ে নাম দৌলতুন্নেছার। তার স্কুল জীবন কেটেছে প্রথমে কুষ্টিয়ায়, পরে পদমদী ও শেষে কৃষ্ণনগর শহরে। জগমোহন নন্দীর পাঠশালা, কুমারখালীর ইংলিশ স্কুল, পদমদী নবাব স্কুল, কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন বলে তার আতœজীবনীতে উল্লেখ আছে। তবে তার কর্মজীবনের অধিকাংশ সময় ব্যয় হয় ফরিদপুরের নবাব এস্টেটে চাকরি করে। তিনি কিছুদিন কলকাতায়ও বসবাস করেন।
মীর মশাররফ হোসেন মাত্র আঠারো বছরে বয়সে তার পিতার বন্ধুর কন্যা আজিজুন্নেসাকে বিয়ে করেন। তিনি ১৯১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দেলদুয়ার এস্টেটে ম্যানেজার থাকাকালেই মৃত্যুবরণ করেন। তাকে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দির পদমদীতে দাফন করা হয়।
১৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের লাহিনীপাড়া সাহিত্যিকের বাস্তুভিটায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে রবিবার ও সোমবার (১৩-১৪ নভেম্বর) দুই দিনব্যাপী আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিদিন বিকাল ৪টায় আলোচনা সভার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হবে। আলোচনা সভা শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি, কুমারখালী উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি ও জেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নাটক মঞ্চায়ন করা হবে।
মীর মশাররফ হোসেন তার বহুমুখী প্রতিভার মাধ্যমে উপন্যাস, নাটক, কাব্য ও প্রবন্ধ রচনা করে আধুনিক যুগে বাংলা সাহিত্যে সমৃদ্ধ ধারার প্রবর্তন করেন। এখন পর্যন্ত মীর মশাররফ হোসেনের মোট ৩৭টি বইয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে।
কারবালার যুদ্ধকে উপজীব্য করে রচিত বিষাদ সিন্ধু তার সবচেয়ে জনপ্রিয় সাহিত্যকর্ম।