সারাদেশের ন্যায় কুষ্টিয়ার কৃষকদের মনও এখন বেশ প্রফুল্ল। মৃদু শীতল বাতাসে সোনালি ধান দোল খাচ্ছে কুষ্টিয়ার মাঠে মাঠে। পাকা ধান কাটতে হাতে কাচি নিয়ে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
অন্যদিকে মাঠ থেকে নতুন ধান বাড়িতে তোলার জন্য আঙ্গিনা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন কৃষাণীরা।
খোকসা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও উৎপাদন হয়েছে ৬ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্য মাত্রার চেয়েও ২০০ হেক্টর জমিতে বেশি আমন ধানের চাষাবাদ হয়েছে।
এবার আবহাওয়ার অনুকূলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো ফলন পেয়ে কৃষক এবার বেশ খুশি। তবে কৃষি বিভাগের পরামর্শ পেলে ফলন আরো ভালো হবে বলে জানান কৃষকেরা।
গত বছর যে জমিতে বিঘা প্রতি ১৮ থেকে ২০ মন ধান হয়েছিলো, এবছর সে জমিতে ২০ থেকে ২২ মনের আশা করছেন চাষিরা।
কৃষকরা বলেন, ধানচাষ করে এখন লাভ হচ্ছে না। বাম্পার ফলনের পরও একরকম টানাটানির মধ্যে থাকতে হচ্ছে। তারা বলেন, ধারদেনা বা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ধান উৎপাদন করে তারা ঋণের টাকা শোধ করতে পারছেন না।
কৃষক শিমুল হোসেন বলেন, ধানের যা ফলন হয়েছে তাতে আমি অনেক খুশি। কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ কথাটি সরকারকে মনে রাখা দরকার। তাই কৃষকদের ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সরকারের নিকট আবেদন জানান তিনি।
খোকসা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সবুজ কুমার সাহা বলেন, সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ দেয়ার ফলে গত বছরের তুলনায় চলতি আমন মৌসুমে ফলন ভালো হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই আমন ধান কাটা-মাড়াই চলছে। এ পর্যন্ত ৪০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকেরা এবার অনেক খুশি। ধানের দামও ভালো আছে।