কুষ্টিয়ার মিরপুরে বিএনপি-জামায়াতের ১৪ নেতাকর্মীর নামে নাশকতার মামলা করেছে পুলিশ। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ আবু সাইদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় মিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হক, সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বান, উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুল গফুর, জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব খন্দার নিশাত ও তার বাবা বিএনপি নেতা টিপু সুলতানসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১৫জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় বুধবার বিকেলে চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার কচুয়াদহ গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে আহসান হাবিব লিংকন (২৯), মৃত মনছের আলীর ছেলে আওলাদ হোসেন (৪২), কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত মোয়াজ্জেল হোসেনের ছেলে আমিরুল ইসলাম সেন্টু (৫২) ও চারুলিয়া গ্রামের শাহাদাৎ ফকিরের ছেলে গোলাম মোস্তফা (৫০)।
এটিকে গায়েবি ও হয়রানিমূলক মামলা বলে দাবি করে মিরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বান বলেন, ১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশে যাতে নেতাকর্মীরা অংশ নিতে না পারেন এজন্য এগুলো করা হচ্ছে। সরকার পতন আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে পুলিশ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ খবর পায় ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের গেটপাড়া স্কুলের বারান্দায় ২৫-৩০ জন জামায়াত এবং বিএনপি’র নেতাকর্মী নাশকতার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিত্বে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে লিংকন, আওলাদ. সেন্টু এবং গোলাম মোস্তফাকে আটক করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাকিরা পালিয়ে যান। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ককটেল-বোমার মতো দেখতে লাল কালো টেপ জড়ানো চারটি বস্তু, লম্বা বাঁশের লাঠি, লোহার রড ও বিভিন্ন সাইজের ইটের টুকরা জব্দ করে পুলিশ।
মামলা এবং গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে মিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল আলম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই জামায়াত এবং বিএনপির নেতাকর্মী। তারা গভীর রাতে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। মামলার অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ জাতীয় আরো খবর...